সংস্কার নাকি নির্বাচন, এ জিজ্ঞাসা অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও কূটতর্ক
ডেস্ক : ‘সংস্কার নাকি নির্বাচন’- এ ধরনের জিজ্ঞাসাকে বিএনপি তথা দেশপ্রেমিক শক্তি এবং দেশের সব মানুষ ও রাজনৈতিক দল স্রেফ অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও কূটতর্ক হিসেবে বিবেচনা করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্র, রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলের গুণগত পরিবর্তনের জন্য সংস্কার এবং নির্বাচন উভয়ই প্রয়োজন। বিদ্যমান ব্যবস্থা সময়োপযোগী করতে সংস্কার একটি অনিবার্য ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। তবে গণতন্ত্রকে টেকসই ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নির্বাচন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর পন্থা। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ ভোটের অধিকার প্রয়োগের যে সুযোগ পায়, তা রাষ্ট্র এবং জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করে।
গুম-খুন ও শহীদ হওয়া সহকর্মীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, দেশ এবং জনগণের কাঁধে চেপে বসা মাফিয়া স্বৈরাচারের অপমানজনক পতনে পার হলো ঐতিহাসিক ২০২৪ সাল। নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার এক অপার সম্ভাবনা নিয়ে আরেকটি নতুন বছরের যাত্রা শুরু হলো। তিনি এসময় বীর ছাত্র-জনতাকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ছাত্রসমাজের সবার কাছে জনপ্রিয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে। মেধা ও মননে সংগঠনটি সাধারণ শিক্ষার্থী এবং জনমনে ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছে।
হাজারো ছাত্র-জনতার সীমাহীন আত্মত্যাগ আর তেজোদীপ্ত ভূমিকার কারণে সরকারের পতন হয়েছে উল্লেখ করে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের খেয়াল রাখতে হবে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে যেন গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বিনষ্ট হওয়ার পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। এ ব্যাপারে ছাত্রদলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে সচেতন ও সজাগ থাকার নির্দেশ দেন তিনি।
ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে ছাত্রদল, যুবদলসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলোর বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।