প্রতিদন্ডীকে মন্ত্রী করে দৃষ্টান্ত করলেন ট্রাম্প

তার নাম রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র। ট্রাম্পের সাথে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন এবং শেষ পর্যন্ত জনপ্রিয়তা না পাওয়ায় প্রার্থীতা তুলে নিয়ে রিপাবলিকান দলকে সাপোর্ট করেন। ট্রাম্প তাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। বিশ্ব রাজনীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যারা একাডেমিক শিক্ষা দিয়ে রাজনীতিবীদ খুজে তাদের জন্য এই লিসেন, শিখুন, কি ভাবে বিজয়ী হতে হয়, অন্যকে সুযোগ দিতে হয়, কি ভাবে রাজনৈতিক মাঠে ঠিকে থাকতে হয়।
প্রতিবাদ ও সমালোচনা করলেই সে বিরোধী নয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে এবং দ্বি-মত প্রকাশেরও স্বাধীনতা দিতে হবে। তবেই সঠিক রাজনীতি চর্চা হবে।
বাংলাদেশের কোন রাজননৈতিক ব্যক্তি বা দল যদি কারু সমালোচনা করে তাহলে আজীবন তার শত্রু হয়। এই দেশে দাঁড়িয়ে আছে রক্তের উপরে আর মিথ্যা বয়ানে। এই দেশের কি আছে ? জাতীয় কোন তথ্য ভান্ডার নেই, যে ভান্ডারে সত্যতথ্য আছে। বুঝলাম বাংলাদেশ গরীব, অর্থ নেই, অর্থ ভান্ডার নেই, তাই বলে বাংলাদেশের কৃষ্টি-কালচার-সংস্কৃতি বলেতো কিছু আছে। সেই গুলি কোথায় গেলে পাবো?
বাংলাদেশে একটি ফিল্ম আর্কাইভ আছে, সেখানে গেলে আপনি হয়তো কিছু সিনেমা পাবেন কিন্তু বিতর্কমুক্ত সিনেমা কি পাবেন? রাজনৈতিক মুক্ত সিনেমা কি পাবেন ? পাবেন না। এই সংস্কৃতি আমাদের কেনো চালু হলো না। এর জন্য দায়ী কে?
আমার ঈমাম আবুহানিফার কথা মনে পড়ে গেলো, কেনো তিনি ক্ষমতার মসনদে বসলেন না, আজ সম্ভবত পৃথিবীতে হানাফী মাজহাবের সংখ্যা সেই জন্যই বেশী।
যাই হোক। আমি আশাবাদি, তবে রক্তের বিনিময়ে নয়, বুদ্ধির বিনিময়ে বিজয় হোক।
মনজুরুল ইসলাম মেঘ
Share