ছাত্রলীগ কে নিষিদ্ধ করায় মসজিদ, মন্দিরে প্রার্থনা হয়েছে
ছাত্রলীগ কে নিষিদ্ধ করায় মসজিদ, মন্দিরে প্রার্থনা হয়েছে।
১৯৭১ সালের আগের ছাত্রলীগ আর বর্তমান ছাত্রলীগ এক নয়। বিগত ১৫ বছর যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেছে, সেই ছাত্রলীগ কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
(১) যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি করা হচ্ছে সেটি ১৯৭১ এর আওয়ামী লীগ নয়। এটি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, খুনি হাসিনার পৈতিক সম্মত্তি আওয়ামী লীগ, কাউয়া কাদেরের আওয়ামী লীগ, মাতাল হাছানের আওয়ামী লীগ। জনগন নিষিদ্ধের দাবি করছেন সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগকে।
(২) আওয়ামী লীগের অবৈধ অভিভাবক (মাওলানা ভাষানীর থেকে জোর করে কেড়ে নিয়েছে) শেখ মুজিবও কিন্তু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করেছিলো।
এর কারণ কি জানেন ?
শেখ মুজিব জানতো, ১৯৪৯ এর আওয়ামী লীগ আর ১৯৭৫ এর আওয়ামী লীগ এক নয়। ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাষীদের পনুর্বাসনে ভরে গিয়েছিলো, সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আজিবন ক্ষমতায় থাকার লোভে শেখ সাহেব আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করেছিলো। যাকে বলে এক ঢিলে ২ পাখি। এক দিকে সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, সুশীলদের মুখবন্ধ। অপর দিকে শেখ মুজিব নিজের আজিবন ক্ষমতায় থাকার ফ্যাসিবাদের জন্ম।
(৩) বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদের জনক শেখ মুজিবের অযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা তার বাবা শেখ সাহেবকে সম্মান করতোনা, মনে মনে ঘৃনা করতো, কারণ শেখ হাসিনাকে এক প্রকার জোর করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দিয়ে ছিলো ওয়াজেদ মিয়ার সাথে, শেখ হাসিনা কোন দিন ই ওয়াজেদ মিয়াকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারেনি, এই কারণ শেখ হাসিনা তার বাবা শেখ মুজিবকে পছন্দ করতেননা, এক প্রকার এড়িয়ে চলতেন।
শেখ হাসিনা তার বাবার চেয়ে বেশি জনপ্রিয় ডিক্টেটর হিসেবে ইতিহাসে থাকার স্বপ্ন নিয়ে তার বাবার নিষিদ্ধ করা সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছে ক্ষমতায় এসেছে। শেখ হাসিনার সম্ভবল বলতে ছিলো বাবার রেখে যাওয়া সন্ত্রাসী বাহিনী, নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ, আর বাবার নাম। এতটুকু পুজিতেই নেমে পড়ে ব্যবসায়।
যেহেতু বাবার নাম জনক দিয়েছে, সেহেতু সে তো আবার জননী হতে পারেনা, তাহলে ইতিহাসে মানুষ বাবা মেয়েকে অন্য সম্পর্কে মিলাতে পারে। তাই শেখ হাসিনা নামধারণ করলেন মাদার অফ হিউম্যানিটি।
কি মূর্খের বচন, যিনি গণহত্যাকরী, যার ভিতর বিন্দুমাত্র মানবতা নেই সেই নাকি মানবতার জননী।
(৪) পলাতক খুনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হলে সবচেয়ে বেশি খুশি হবে ১৯৭১ সালের মহান শহীদদের আত্না। যারা ৭১ এর চেতনা নিয়ে বক বক করেন, তারা কি ৭১ নিয়ে বিদেশী লেখক, সাংবাদিকদের লেখা বই পত্রিকার নিউজ পড়েছেন ?
শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধ বিরতীতে সম্মতি দিয়েছিলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদের আশায়, কিন্তু যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন তাজউদ্দিন আহমেদ, মাওলানা ভাষানী, সিরাজুল ইসলাম খান।
(৫) যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশে এই কারণেই শেখ মুজিবের যত প্রিয় হতে পেরেছিলেন খন্দকার মুসতাক, তত প্রিয় হতে পারেননি তাজউদ্দিন। যুদ্ধ চলাকালীন খন্দকার মুস্তাককে কেনো মন্ত্রীত্ব থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিলো শুধু এই সত্য ইতিহাসটুকু অনুসন্ধান করুন।
(৬) সিরাজুল আলম খানকে কেনো শেখ হাসিনা সহ্য করতেন না শুধু এই ইতিহাস খুজে বের করুন। শেখ হাসিনা কেনো প্রবীণ নেতাদের দূরে রাখতেন এই ইতিহাস অনুসন্ধান করুন। শেখ হাসিনা কেনো জিয়াউর রহমানকে ভয় পেতেন সেই ইতিহাসটুকু জেনে নিন।
(৭) শেখ হাসিনা কেনো দেশ থেকে পালিয়ে গেলেন এই বিষয়টি নিয়ে ভাবুন, ভাবুন, ভাবতে থাকুন।
সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জোড়ালো হোক…