এছাড়া, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী ক্লাসও আজ থেকেই শুরু হবে।
এর আগে, জুলাইয়ের শুরুতে শিক্ষকদের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের কারণে কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা, যার ফলে শ্রেণিকক্ষে অচলাবস্থা তৈরি হয়। পরে, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে চবি বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
ফলে প্রায় তিন মাস পর শিক্ষার্থীরা আবার ক্লাসে ফিরছে, যা নিয়ে তাদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তাহসান হাবিব বলেন, দীর্ঘদিন পর ক্লাসে ফিরে তিনি আনন্দিত এবং আশা করেন কর্তৃপক্ষ এই সময়ের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
অন্যদিকে, প্রায় সাত বছর পর আবাসিক হলে আসন বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে কিছু অসঙ্গতি দেখা দিলেও, অনেকেই এটিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তাদের মতে, দীর্ঘদিনের আসন বরাদ্দ না দেওয়ার প্রথা ভেঙে নিয়মিত বরাদ্দ দেওয়ার উদ্যোগ প্রশংসনীয়, তবে ভুলগুলো সংশোধন করাও জরুরি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, ৫ আগস্টের আগে আসন বরাদ্দের জন্য কোনো নীতিমালা ছিল না। তখনকার প্রশাসন ৫ আগস্টের পর একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে, যা আমরা অনুসরণ করছি। দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় চালুর জন্য এই ত্রুটিপূর্ণ নীতিমালা অনুসারে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা ভবিষ্যতে সংশোধন করে নতুন বরাদ্দ দেওয়া হবে।