ইসরাইল-হিজবুল্লাহ সংঘর্ষে হাইফার জনজীবন বিপর্যস্ত
ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর মধ্যে ইসরাইলের আধুনিক শহর হাইফা একটি। প্রতি বছরই এখানে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটত। কিন্তু সম্প্রতি লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর রকেট হামলার কারণে এই শহরটি এখন যেন এক ভৌতিক নগরীতে রূপান্তরিত হয়েছে। শহরটিকে দেখে মনে হবে, যেন এক শূন্য, পরিত্যক্ত স্থান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের একজন সাংবাদিক সম্প্রতি এই শহর পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে এমনটাই জানিয়েছেন।
তার বক্তব্য অনুযায়ী, একসময়কার প্রাণবন্ত ও সুন্দর শহরটি এখন মরুভূমির মতো। চারপাশে শুধু ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে। মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।
ইসরাইল গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এক বছর পার না হতেই, তারা লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গেও সংঘাতে জড়িয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হিজবুল্লাহ সম্প্রতি ইসরাইলের ওপর রকেট হামলা চালিয়েছে।
হিজবুল্লাহ শতাধিক রকেট ব্যবহার করে ইসরাইলের হাইফা ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালায়, যার ফলে হাইফা শহরের রাস্তাগুলো প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা শলম হাসকেল ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সবাইকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। সাধারণত প্রতি শনিবার শত শত মানুষ বাইরে বের হয়। তারা বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও পাবলিক প্লেসে ভিড় জমায়। কিন্তু আজ পুরো শহর খালি, কেউ নেই।’
ইসরাইলও চুপ করে বসে নেই। গত ২৭ সেপ্টেম্বর তারা লেবাননে একাধিক বিমান হামলা চালায়, যার ফলে হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন।
এরপর হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান হিসেবে যিনি উঠে এসেছেন, তিনি হলেন হাশেম সাফিউদ্দিন। ৩ অক্টোবর ইসরাইল সাফিউদ্দিনকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়, এবং তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে রয়টার্স ও দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।
সাফিউদ্দিন হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন এবং সম্প্রতি নিহত হাসান নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিলেন।