চলচ্চিত্র আমদানি-রপ্তানিতে নতুন নির্দেশনা
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা ২০১৭-এর ৭ অনুচ্ছেদ ৬ অনুযায়ী চলচ্চিত্র আমদানি ও রপ্তানির সুপারিশের জন্য ১২ সদস্যের কর্মকর্তাদের নিয়ে এই কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে, যা পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এই কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব থাকবেন, এবং সদস্য হিসেবে থাকবেন বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির প্রশাসক, বাংলাদেশ পরিচালক সমিতির সভাপতি, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, চলচ্চিত্র নির্মাতা আবিদ মল্লিক, চলচ্চিত্র সাংবাদিক শিবলী আহমেদ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব।
জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা ২০১৭-এর ৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র রপ্তানি এবং বিদেশি চলচ্চিত্র আমদানিতে সমতা নীতি গ্রহণ করতে হবে। এর মূল লক্ষ্য হবে বিদেশে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে বাজার তৈরি ও সম্প্রসারণ এবং দেশীয় সংস্কৃতির প্রচার।
এতে আরও বলা হয়েছে, বিদেশে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র রপ্তানির জন্য সরকার থেকে অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। অনুমতি প্রদানের সময় রপ্তানির জন্য প্রস্তাবিত চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু, কারিগরি এবং নান্দনিক মানের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে দেখতে হবে এটি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় এবং বিদেশে চলচ্চিত্রের বাজার তৈরি বা সম্প্রসারণে সহায়ক হবে কি না।
তবে গত কয়েক বছরে এই নীতিমালা অনুসারে ছবির আমদানি-রপ্তানির তথ্য খুব একটা পাওয়া যায়নি। তবে সাফটা চুক্তির আওতায় ভারত থেকে সিনেমা এনে বাংলাদেশে নিয়মিত প্রদর্শন করা হত। এছাড়া, ভারত থেকে নতুন সিনেমা আনার বিনিময়ে বাংলাদেশের পুরোনো সিনেমা পাঠানোর খবর পাওয়া গেছে। ভারতীয় কিছু নামকরা প্রেক্ষাগৃহে সেসব ছবির প্রদর্শন করা হত, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সিনেমা ভারতে প্রদর্শিত হতো না।