সম্প্রতি, মেটার শীর্ষস্থানীয় এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন এমনই দাবি করেছেন। তার মতে, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট তৈরি করা, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে। আর এখন স্মার্টফোনের ব্যবহার সেই প্রয়োজন মেটাচ্ছে। কিন্তু আগামী দশ থেকে পনেরো বছরের মধ্যেই স্মার্টফোনের আর প্রয়োজন হবে না। তখন মানুষ ব্যবহার করবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাসেস।
লেকুনের বক্তব্য অনুযায়ী, এই বিশেষ ধরনের চশমা এবং ব্রেসলেট সব কাজ সম্পন্ন করবে, যার ফলে স্মার্টফোনের যুগ শেষ হয়ে যাবে।
তবে, স্মার্টফোন নিয়ে লেকুনের এই ভবিষ্যদ্বাণী প্রথম নয়। এর আগে, ২০২২ সালে নোকিয়ার সিইও পেক্কা লান্ডমার্ক বলেছিলেন যে ২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। তার বদলে, বিভিন্ন যন্ত্র আমাদের শরীরেই সংযুক্ত থাকবে।
উল্লেখ্য, এ বছরই ইলন মাস্কের কোম্পানি নিউরোলিঙ্ক ‘অসম্ভবকে সম্ভব’ করেছে। তারা মানব মস্তিষ্কে একটি ব্রেন ইন্টারফেস বা চিপ বসিয়েছে, যা মস্তিষ্ক এবং কম্পিউটারের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। সেই ব্যক্তি এখন তার মস্তিষ্কের মাধ্যমে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম কিংবা অনলাইন দাবা খেলতে সক্ষম হচ্ছেন! এই ধরনের উদ্ভাবন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। তাই, স্মার্টফোনের অবলুপ্তির এই ভবিষ্যদ্বাণীকে আর উপেক্ষা করা যাচ্ছে না।