নতুন বাংলাদেশে গুলিতে এক শ্রমিক নিহত কেনো ?
সাভারে পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের কারনে স্বৈরাশাষকের পতনের পরে প্রথম প্রাণহানির ঘটনা ঘটল।
সোমবার পুলিশের গুলিতে নিহত কাওসার হোসেন (২৭) টঙ্গাবাড়ির ম্যাংগো টেক্স লিমিটেড নামের একটি কারখানায় কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে। একই সময় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও অন্তত পাঁচজন। আহত পাঁচ শ্রমিক হলেন হাবীব, নাজমুল হোসেন, ওবায়দুল মোল্লা, রাসেল মিয়া ও নয়ন। তাঁরা সাভারের বেসরকারি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে।
শ্রমিকদের আটকে রেখে মারধরের কথা ছড়িয়ে পড়লে ন্যাচারাল ডেনিম ও ন্যাচারাল ইন্ডিগোর শ্রমিকেরা কারখানা থেকে বের হয়ে মন্ডল নিটওয়্যারের কারখানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় আশপাশের কিছু কারখানার শ্রমিকেরাও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালান। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ধাওয়া দেন। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় সোমবারের (৩০ সেপ্টেম্বর) সহিংসতায় এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, যে শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন তার পরিবারের জন্য ১৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন বাংলাদেশে কোন শ্রমিকের মৃত্যুর আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়েই সরকার দায় এড়াতে পারেনা। সরকারকে নিশ্চয়তা দিতে হবে, আগামিতে আর কোন প্রাণ ঝড়বেনা জনগনের অর্থে কিনা গুলিতে। একই সাথে জনগনকেও সর্তক হতে হবে, হুজুগে কথায় কান দিয়ে ধ্বংসাত্বক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করা যাবেন।