খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার তদন্ত শুরু
ডেস্ক: খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলায় সহিংসতা ও সংঘর্ষের তদন্তে গঠিত কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নূরল্লাহ নূরীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের এই কমিটি খাগড়াছড়ির দীঘিনালার লারমা স্কয়ার এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে কমিটির সদস্যরা এলাকাটি পরিদর্শন করেন। এর আগে, রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের নারানখাইয়া ও স্বর্নিভর এলাকার পরিদর্শন শেষে সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান জানান, তারা ক্ষতিগ্রস্ত, প্রত্যক্ষদর্শী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন।
এদিকে, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের নোয়াপাড়া এলাকায় মো. মামুন নামের এক যুবককে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে গণপিটুনির শিকার হতে হয়। পালানোর সময় তিনি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে জ্ঞান হারান। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, যাতে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে দুজন, দীঘিনালায় দুজন ও রাঙ্গামাটিতে একজন নিহত হন। এ ছাড়া শতাধিক দোকানে আগুন ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
সহিংসতার পরদিন অন্তবর্তীকালীন সরকারের তিন উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলায় সফর করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিশিষ্টজন ও সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির সহিংসতার কারণ উদঘাটনে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। এই কমিটিকে দুসপ্তাহের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন ও তদন্তপূর্বক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের তিন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও তিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।