বায়ুমানের হ্রাস: ঢাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি

ডেস্ক: জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিভিন্ন কারণে বিশ্বের শহরগুলোতে বায়ুদূষণ ক্রমেই বাড়ছে। মেগাসিটি ঢাকা শহরের বাতাসেও প্রতিদিন দূষণ বাড়ছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টির কারণে বায়ুমান কিছুটা উন্নতি হয়, কিন্তু বৃষ্টিপাত বন্ধ হলেই ঢাকার বাতাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি আবার বাড়তে শুরু করে।

৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার, সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, ১২৭ স্কোর নিয়ে ঢাকা পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়।

একই সময়ে, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় পাকিস্তানের লাহোর ২০২ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে ভারতের দিল্লি ১৭৪ স্কোর নিয়ে, তৃতীয় স্থানে উজবেকিস্তানের তাশখন্দ ১৬১ স্কোর নিয়ে, এবং চতুর্থ স্থানে কাজাখস্তানের শহর নুর-সুলতান ১২৮ স্কোর নিয়ে অবস্থান করছে।

একিউআই স্কোর ০ থেকে ৫০ ভালো হিসেবে ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে সেটি ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু হিসেবে বিবেচিত হয়।

২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এই অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের বাড়ির ভিতরে থাকার এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমিত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে, যা সব বয়সের মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ এবং অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ অত্যন্ত ক্ষতিকর।

Share