ইউপি চেয়ারম্যানকে থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা
ডেস্ক: যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার কক্সবাজার সদরের পিএমখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তার কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ সময় পুলিশ এবং আব্দুল্লাহর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সোমবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে সদর থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান কক্সবাজার সদর থানার ওসি মুহাম্মদ ফয়জুল আজিম।
তিনি বলেন, “ভোরে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের গাড়ি থেকে নামানোর সময় আব্দুল্লাহর কর্মী-সমর্থকরা তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
“পরে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ওসি ফয়জুল আজিম বলেন, ১৮ জুলাই কক্সবাজার শহরের লালদিঘীর পাড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটে। সেই সময় আহসান হাবীব নামের এক তরুণ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ওই তরুণ বিআরবি ক্যাবলের কর্মচারী ছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে করা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।
রোববার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত কক্সবাজার পৌরসভা ও সদরের পিএমখালী ইউনিয়ন এবং কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী।
রোববার রাতে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহাবউদ্দিন সিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সোমবার ভোরে পিএমখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ এবং কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজদৌল্লাহকে গ্রেপ্তার করেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।