পাচারের টাকা ফেরানো সহজ নয়: অর্থ উপদেষ্টা

ডেস্ক : যারা টাকা পাচার করেন তাদের অত্যন্ত বুদ্ধিমান লোক উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সহজ না। পাচারের টাকা পেলে বাজেট সাপোর্টের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে যেতে হতো না। পাচারের টাকা ফেরত আনতে সময় লাগবে। আমরা বলেছি, এক-আধ বছর লাগতে পারে, সেই প্রসেস শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পাচার হওয়া কালো টাকা দেশে আনা বিষয়ের বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে কাজ হচ্ছে। পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সহজ কিন্তু না। যারা টাকা পাচার করে তারা অত্যন্ত বুদ্ধিমান লোক, লেয়ারিং করে করে টাকা পাচার করে। এমন না যে ধপ করে টাকা পাঠিয়ে দিলাম। আপনি কোথায় টাকা পাঠাবেন সেটা সরাসরি না, ঘুরে ঘুরে টাকা যায়।

তিনি বলেন, অনেকেই বলেছেন কালো টাকা সাদা করে দেওয়া ঢালাওভাবে। কালো টাকা কিন্তু ঠিক কালো টাকা না, আমরা বলছি অপ্রদর্শিত আয়। অপ্রদর্শিত আয় যদি থাকে শুধু ফ্ল্যাটের ব্যাপারে একটা বিধান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা কালো টাকা না।

তিনি আরও বলেন, কালো টাকা সাদা করার দুটি দিক আছে একটা হলো নৈতিক দিক আরেকটা হলো প্রাকটিক্যাল দিক, আমরা ট্যাক্স পাবো কি না। দুই দিকে যাতে কালো টাকাটা সাদা করার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, সেটা আমরা বিবেচনা করে দেখবো। আমরা বলছি, না কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে খুব ভালো কিছু করে ফেলেছি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাজেট গত বছরের তুলনায় ছোট হয়েছে, সেটা বাস্তবায়ন খুব বেশি কঠিন না। বাজেট ৬ মাসের জন্য না, তিন মাস বা ছয় মাসে বাজেট করা যায় না। বাজেট করতে হয় এক বছরের জন্য মুদ্রানীতি করতে পারে ৬ মাসে। কিন্তু আমরা বাজেট ৯ মাস ৬ মাসে করতে পারবো না।

ফুটপ্রিন্টে নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা কি ফুটপ্রিন্ট দিয়ে যাচ্ছি, আমরা যে ভালো কাজটা করে যাচ্ছি সেটা পরবর্তী সরকার যদি কন্টিনিউ করে। যদি সেটা না করে তাহলে আপনারা তাদের প্রশ্ন করতে পারেন। আমরা যদি খারাপ কাজ করে থাকি তাহলে বলতে পারে, এটা ভালো না বাদ দিয়ে দাও। কিন্তু আমরা সে ধরনের কাজ করছি না।

এর একটি হলো— কেউ নিজের জমিতে অপ্রদর্শিত অর্থ দিয়ে যদি বাড়ি তৈরি করেন, তাহলে দ্বিগুণ কর দিয়ে তা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো সংস্থা প্রশ্ন করতে পারবে না, বিষয়টা কিন্তু তা নয়। অন্যান্য সংস্থার প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে।

দ্বিতীয় সুযোগটি হলো— ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে আমরা কর পাঁচগুণ করে দিয়েছি। এটা খুব ব্যয়বহুল হয়েছে। তারপরও অনেকেই যেহেতু এটা নিয়ে কথা বলতেছে, আমার মনে হয় স্যার (অর্থ উপদেষ্টা) সবাই আলোচনা করে চিন্তা করতে পারেন কি করবেন।

Share