ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শাহামিনা দিতির অভিযোগ, বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটক থেকে তিনি রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে উঠেন। যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-ব- ১২৩০৪৪। বাসটিতে উঠার পরপরই বাসটির সহকারী তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করেন। এরপর ভাড়া চাইলে ওই ছাত্রী প্রথমে হাফ ভাড়া পাঁচ টাকা দেন, কিন্তু বাসের সহকারী নিতে অস্বীকৃতি জানান।
পরে তিনি ফুল ভাড়া ১০ টাকা দিলেও বাসের সহকারী কটু কথা শোনান। এরপর নবীনগর স্মৃতিসৌধ এলাকায় বাসটি অযাচিত থামিয়ে রাখা হয়। তখন শাহামিনা দিতি বাস যেখানে সেখানে না থামানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু সহকারী তখনও অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করেন।
তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৪৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী দিতি ঘটনাটি তার বন্ধুবান্ধবদের জানালে তারা রাজধানী পরিবহনের বাসগুলো আটকাতে শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, শিক্ষার্থীরা বাস আটকাতে শুরু করলে একটি বাস না থেমে চলে যেতে থাকে। তখন এক শিক্ষার্থী পায়ে আঘাত পান। তখন বাসটির চালককে ধরে বেধড়ক মারধর করেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একদল শিক্ষার্থী রাজধানী পরিবহনের বাসগুলো থামিয়ে সড়কের একপাশে নিয়ে বাসের চাবি কেড়ে নিচ্ছেন। বাসা থাকা যাত্রীদের তারা নামিয়ে দিচ্ছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায় ওইসব যাত্রীদের।
বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া এক যাত্রী আনিসুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি মিরপুর থেকে প্রতিদিন কালিয়াকৈর এলাকায় যাতায়াত করি। প্রায় দেখি এভাবে বাস আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। আমাদের যে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সেটা কেউ দেখে না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আবু সৈয়দ জিন্নাহ বলেন, রাজধানী পরিবহনের ঢাকা মেট্রো ব- ১২৩০৪৪ গাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী জয় বাংলা ফটক থেকে পল্লি বিদ্যুৎ এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই বাসের হেল্পার তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। পরে তার সহপাঠীরা গাড়িগুলো আটকানো শুরু করে। আমরা বাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য আসছেন।