Thursday, November 7, 2024
বিনোদন

বির্তকীত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি গঠন করায় প্রতিবাদ ও নিন্দা

খবর বিজ্ঞপ্তি : আজ ০৭/১০/২০২৪ ইং তারিখ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি পুর্নগঠনের নামে আওয়ামী লীগের সুবিধাজীবিদের পুর্নবাসন করায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন ফোরামের আহŸায়ক, চলচ্চিত্র প্রযোজক সামসুল আলাম এবং সদস্য সচিব, চলচ্চিত্র পরিচালক শাহীন সুমন এক যুক্ত বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

অনুদান কমিটির অধিকাংশ সদস্য ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধা নেওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকার পরেও “চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি”তে তাদের অর্ন্তভুক্ত করায় পেশাদার চলচ্চিত্র শিল্পের বিভিন্ন অংশীজন সংগঠনের সম্মিলিত অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন ফোরাম নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

অনুদান কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহমেদ মুজতবা জামালকে। যিনি বিগত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীদ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে প্রেট্রোন করে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করে সরকারী অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। ২০১৬ হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শাহরিয়ার আলমের নেতেৃত্ব অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ঈসরাইলের নাগরিক এই উৎসবে অবৈধ ভাবে অংশগ্রহণ করেছে, আহমেদ মুজতবা জামাল আওয়ামী লীগের মুজিব শতবর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য এবং বিগত কয়েক বছর যাবত চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি থেকে নানা অনিয়ম করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে ২০১৮ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ কে বিএনপি-জামায়াত ট্যাগ দিয়ে নিউ মার্কেট থানায় মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে, যার প্রেক্ষিতে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত “বিলডাকিনি” চলচ্চিত্র পরিচালক মনজুরুল ইসলাম কে বিএনপি-জামায়াত ট্যাগ দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা থেকে বিরত রেখে নাগরিক অধিকার হরণ এবং চলচ্চিত্রের অপূরণীয় ক্ষতি করা হয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্টের এই দালালের বিষয়টি খতিয়ে দেখার এবং চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার জোরালো দাবি জানানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশের একমাত্র বেসরকারী প্রতিষ্ঠান যেটি আন্তর্জাতিক সংগঠন ফিপ্রেসস্কি থেকে দুর্নীতির কারণে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল, চিফ প্রেট্রোন সাবেক পররাষ্ট্র পতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

অনুদান কমিটির সদস্য খান শারফুদ্দীন মোহাম্মদ আকরাম (আকরাম খান) দুটি চলচ্চিত্র নির্মান করেছেন, আর দুটিই আওয়ামী সরকারের বিশেষ সুবিধায় চলচ্চিত্র অনুদানে। ২০১১-২০২২ অর্থ বছরে “খাঁচা” চলচ্চিত্রের জন্য সরকারী চলচ্চিত্র অনুদান পাওয়ার ৫ বছর পরে মুক্তি দিয়েই ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে “বিধবাদের কথা” নামে অপর একটি চলচ্চিত্রের অনুদান পেলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। যিনি নিজেই যথাসময়ে অনুদানের সিনেমা মুক্তি না দিয়ে আইন অমান্য করেছিলেন তিনি সচ্ছতা ও ন্যায়ের ভিত্তিত্বে অনুদান প্রদান করতে ব্যার্থ হবেন বলে আমরা ধারণা করছি, তাই অবিলম্বে তাকে বাদ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

নার্গিস আক্তার, “যৈবতী কন্যার মন” নামের একটি চলচ্চিত্র ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে অনুদান পেলেও ২০২১ সালে অনুদান গ্রহণের প্রায় ১০ বছর পরে মুক্তি পায়। যিনি নিজেই অনুদান আইন লঙ্গণ করেছেন তিনি কি করে অনুদান কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনিত হয়? এছাড়াও অনুদান কমিটির একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণের সুস্পষ্ট প্রমান আছে। অনতিবিলম্বে এই কমিটি বিলুপ্ত করে পেশাদার ও যোগ্য চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের নিয়ে, গ্রহণযোগ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি পুর্নগঠনের দাবি জানানো হয়েছে।

বার্তা প্রেরক
সায়মন তারিক
যুগ্ম সদস্য সচিব
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন ফোরাম

 

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ফেসবুক সংবাদ

Moralook Limited