অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ভুক্তভোগী।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, লামিয়া ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল নামে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনে শুল্ক রেয়াত ও প্রত্যর্পণ পরিদপ্তর (ডেডো) থেকে রপ্তানিকারকদের গ্যাস বিলের বিপরীতে মূসক বাবদ অর্থ উত্তোলন করে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এই সুবিধা লাভ করে চেক ইস্যু করার জন্য। কিন্তু বিশেষ কারণে এই সুবিধা চার বছর বন্ধ ছিল। এদিকে পোলো কম্পোজিট ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনন্ত জলিল এই টাকা উত্তোলনের জন্য তাকে প্রস্তাব দিলে তিনি তা গ্রহণ করেন।
এরপর তাকে কাজ দেওয়ার শর্তে জামানত হিসেবে তার ব্যাংকের ব্ল্যাংক চেক রেখে দেওয়া হয়, যা ছিল প্রতারণার নতুন কৌশল। উভয়পক্ষের মধ্যে ফিফটি ফিফটি শতাংশের একটি চুক্তিনামা স্বাক্ষরিত হয়। বিজিএমইএ এর সহযোগিতায় এনবিআর ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি চেয়ারম্যানের পুনঃঅনুমোদন লাভ করে।
পরবর্তীতে পরিচালক মুজতবা আলীর সঙ্গে বিজিএমইএ টিম লিডার নজরুল ইসলামের দেখা হয়। তিনি এক সপ্তাহ পর চেক প্রদানে রাজি হন। তিনটি চেকের মোট পরিমাণ ১ কোটি ১৩ লাখ ৫২ হাজার ৩৮২ টাকা, যার পঞ্চাশ শতাংশ ৫৬ লাখ ৭৬ হাজার ১৯১ টাকা। তবে তাকে মাত্র ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়।
পরে আরবিটেশন বিভাগের বিচারক এটিএম মতিন প্রশাসনিক প্রহসনের মাধ্যমে তাকে ৫ লাখ টাকা নিতে বাধ্য করেন এবং এ বিষয়ে থানায় যেতে নিষেধ করে হুমকি দেন। তিনি বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেছেন এবং সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানে মূসক অব্যাহতির সনদ নিয়ে আসেন। প্রতিমাসে ১৫ লাখ টাকা সে অব্যাহতি সুবিধা পাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, অনন্ত জলিলের শ্যালক জিএম শরীফ ও নেপচুন গ্রুপের মালিক সালাউদ্দিন হাওলাদারের যোগসাজশে তার পাওনা ৫৬ লাখ টাকা না দেওয়ার জন্য চক্রান্ত করা হয়েছে।
পরে তিনি সিএমএম আদালতে ১৩৪৬ নম্বর মামলা দায়ের করেন এবং অনন্ত জলিলের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে সাভার আমলি আদালতে ৩০১/২৪ মামলা করা হয়। উভয় মামলায় তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাজ্জাক।