নেপালে ভূমিধসে বাস-গাড়ি, নিহত ৩৫
ডেস্ক: অতিবৃষ্টির ফলে নেপাল ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন স্থানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন রাস্তায় আটকা পড়েছে।
গতকাল সোমবার, রাজধানী কাঠমান্ডুর একটি মহাসড়কে থেমে থাকা বাস এবং গাড়ি ভূমিধসের কবলে পড়ে। এই ঘটনায় অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিধসের কারণে রাস্তা বন্ধ থাকায় অসংখ্য যানবাহন মহাসড়কের উপর দাঁড়িয়ে আছে। এর মধ্যে তিনটি বাস এবং বেশ কয়েকটি গাড়ির ওপর ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এসব গাড়িতে থাকা যাত্রীরা তখন কাদার নিচে আটকা পড়েন, যার ফলে ৩৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার সময় অনেকেই ঘুমিয়ে ছিলেন।
ভূমিধসের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া মহাসড়কগুলোতে এখনও যান চলাচল স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়নি।
বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে নেপালে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ২০৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, কারণ প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
টানা কয়েকদিন ধরে প্রবল বর্ষণের কারণে ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে নেপালের বিস্তৃত অঞ্চলে বন্যা শুরু হয়। এই দুর্যোগকে তীব্র করেছে বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক ভূমিধস।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নেপালের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় জেলা। জাতীয় দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে নেপালের বিশাল অঞ্চলজুড়ে মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, অনেক মহাসড়ক ও রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে, শত শত বাড়ি ও সেতু চাপা পড়েছে বা ভেসে গেছে এবং হাজার হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সড়ক বন্ধ হওয়ার কারণে বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছেন।