আওয়ামী লীগ মন্দির, গির্জা, মসজিদ ভেঙ্গেছে : জামায়াত

ডেস্ক : জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ভেতরে মুসল্লিদের রক্তাক্ত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কেবল মন্দির, গির্জা ভাঙে না, মসজিদও ভাঙে। মসজিদের ভেতরও আওয়ামী লীগের হাতে মানুষ নিরাপদ নয়।

তিনি আরো বলেন, অনতিবিলম্বে মুফতি রুহুল আমীনসহ হামলাকারী তার সহযোগীদের আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। রুহুল আমীন সাহেবের পলাতক নেত্রী খুনি হাসিনা বলেন ‘চট করে’ দেশে ঢুকে যাবেন। তাই তিনিও ‘চট করে’ মসজিদের মিম্বার দখলে দিতে চেয়েছেন।

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে অনুপস্থিত থাকা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমীন ফিরে আসার ঘটনায় খতিবের সমর্থক ও মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খতিব জটিলতায় থমথমে পরিস্থিতির মধ্যেই জুমার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

মসজিদের ভেতর এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের দালাল রুহুল আমীনকে শেখ হাসিনা বায়তুল মোকাররমের খতিব নিয়োগ দিয়েছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রুহুল আমীনও পালিয়ে গিয়ে গোপালগঞ্জে ঢুকে পড়েন। মসজিদে আর ইমামতি করতে আসেননি। পরে তাকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও জবাব দেননি। এতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন নতুন খতিব নিয়োগ করে।

নতুন খতিব নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গেই আগের খতিব অব্যাহতি পেয়ে যান। কিন্তু আওয়ামী লীগের ওই দালাল শুক্রবার গোপালগঞ্জের একদল সন্ত্রাসী নিয়ে এসে বায়তুল মোকাররমে মিম্বার দখল নিয়ে নিজেকে খতিব দাবি করেন। উপস্থিত মুসল্লিরা এর প্রতিবাদ করলে, তার নির্দেশে সহযোগী সন্ত্রাসীরা মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের রক্তাক্ত করে। রুহুল আমীন সাহেবের পলাতক নেত্রী খুনি হাসিনা বলেন ‘চট করে’ দেশে ঢুকে যাবেন। তাই তিনিও ‘চট করে’ মসজিদের মিম্বার দখলে দিতে চেয়েছেন।

Share