প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ বিএনপির

ডেস্ক : দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অনুরোধ ও তাগিদ দিয়েছেন বিএনপি নেতারা।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় তারা এই তাগিদ দেন।

শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তাদের (বিএনপি নেতাদের) জানিয়েছেন আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কবে হবে সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সাক্ষাৎকালে নেতারা দেশব্যাপী কিছু উদ্ভূত পরিস্থিতির আলোকে দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার ব্যাপারে জোর দিয়েছেন।

‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যারা অন্যায় অত্যাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের সবাইকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচার কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার তাগিদ দেন তারা। বিএনপি নেতারা বলেন, হাসিনা সরকার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এক লাখ ২৫ হাজার মামলা করে। এসব হয়রানিমূলক ও গায়েবি মামলা উল্লেখ করে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলেন তারা।’

শফিকুল আলম আরও বলেন, এছাড়া অপারেশন ডেভিল হান্টে যেন মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেন বিএনপি নেতারা। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি নেতাদের আশ্বস্ত করে বলেন, কোনোভাবেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতে দেওয়া হবে না। যারা যারা অন্যায় অত্যাচারের সঙ্গে জড়িত ও যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে- তাদেরকেই অপারেশন ডেভিল হান্টের (আইনের) আওতায় আনা হচ্ছে। এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে মনিটর করা হচ্ছে। কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হোক এটা আমরা চাই না।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি নেতাদের সাক্ষাৎকালে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বিএনপি নেতাদের জানান গায়েবি মামলাগুলো নিষ্পত্তির ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হবে। মামলাগুলো নিষ্পত্তির ব্যাপারে বিলম্বের কারণ হিসেবে আসিফ নজরুল বলেন, যারা সরকারি পিপি ছিলেন তাদের অনেকেই পালিয়ে ছিলেন। ফলে মামলাগুলো ভালোভাবে মনিটরিং করা সম্ভব হয়নি।

দেশব্যাপী সহিংসতার ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীরা সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। তিনি সম্প্রতি সহিংসতার বিষয়ে বিবৃতি দেওয়ার পর কোথাও আর কোনো কিছু ঘটেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

বইমেলায় একটি স্টলে ভাঙচুর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, বিষয়টি আমরা কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে বাংলা একাডেমির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিস্তারিত ঘটনা জানানোর জন্য বলা হয়েছে।

Share