নতুন ভোটার হতে ভোগান্তি
মাজহারুল হক বাবু : সারাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হয়েছে। এতে নতুন ভোটারের আনন্দিত হবার কথা থাকলেও অনেকে পড়েছেন বিড়ম্বনায়। অর্ন্তরবতী সরকারের নিকটে অনেকেই এই সমস্যা সমাধানের জন্য দাবি জানিয়েছেন।
www.services.nidw.gov.bd এই লিংকে গিয়ে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে হবে। এরপর পুরণকৃত ফরম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে হবে। নতুন ভোটার নিবন্ধন প্রিন্টেড অনলাইন ফরমের ক্রমিক ৩৪,৩৫ এ পিতা/মাতা/স্বামীর আইডি নং ও স্বাক্ষর এবং ক্রমিক ৪০,৪১,৪২ এ চেয়ারম্যান/মেম্বারের নাম, আইডি নং এবং স্বাক্ষর ও সিল দিতে হবে। এরপর এস এম এস পাওয়ার পর অফিসে এসে বায়োমেট্রিক আপডেট করতে হবে।
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র –
১। অনলাইন জন্ম সনদ বাংলা ও ইংরেজি
২। সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (যদি থাকে)
৩। পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র
৪। স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম সনদ (বিবাহিতদের ক্ষেত্রে)
৫। নাগরিকত্ব সনদ
৬। বিদ্যুৎ বিল
৭। চৌকিদারী ট্যাক্সের সনদ
৯। পূর্বে কখনো ভোটার হন নি এই মর্মে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন
১০। সরকারি হাসপাতাল প্রদত্ত রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার সনদ।
ভোটার হালনাগাদ নিয়ে যে বিড়ম্বনা হচ্ছে-
ভোটার তালিকা হালনাগাদ নিয়ে কিছু কথা, নতুন ভোটার যারা হচ্ছেন, প্রথমে বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন কপি এবং যিনি ভোটার হচ্ছেন তার অনলাইন কপি, বাবা মায়ের এনআইডি’র ফটোকপি, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, চৌকিদারী ট্যাক্সের দাখিলা, কারেন্ট বিলের কাগজ, বিবাহিত নারী ভোটার হতে হলে বিবাহ কাবিনের ফটো কপি এবং প্রত্যয়ন পত্রসহ সংগ্রহ করতে চৌকিদারী ট্যাক্সের দাখিলা ৫০০ টাকা, তিনটা জন্ম নিবন্ধন ৯০০ টাকা, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট ৩০ টাকা, কাবিনের নকল ৫০০ টাকা, মোট ১৯৩০ টাকা প্রায়। এত টাকা খরচ করে একজন ভোটার হওয়া সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য প্রায় অসম্ভব। চৌকিদারী ট্যাক্সের দাখিলা, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি, কাবিনের কাগজ সব জায়গায় অনিয়ম-দুর্নীতি।
নতুন ভোটারদের জন্য অতিরিক্ত কাগজের বুঝা চাপিয়ে না দিয়ে সাধারণ মানুষ যেভাবে ভোটার হতে পারে ঠিক সেভাবে সহজ পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় এক বা দুটি কাগজ নিয়ে নতুন ভোটারদের ভোটার হওয়ার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে নতুন ভোটাররা।