আসিফ-নাহিদসহ ৪ উপদেষ্টাকে পঙ্গু হাসপাতালে উপস্থিত হওয়ার আল্টিমেটাম

তারেক মনোয়ার : রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনের রাস্তায় অবস্থান করা জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা চার উপদেষ্টাকে স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার আল্টিমেটাম দিয়ে অবস্থান কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতেছেন।

আজ বুধবার রাত ১০টার মধ্যে সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ এবং ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে পঙ্গু হাসপাতালের সামনে উপস্থিত হওয়ার আল্টিমেটাম দিয়ে রাত ৯টার দিকে তাঁরা এই আল্টিমেটাম দেন। তবে রাত ১০ টা পর্যন্ত উপদেষ্টারা উপস্থিত না হলেও সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তিত্বরা আহতদের পাশে দাড়িয়ে সহমর্মিতা জানিয়েছেন।

আজ দুপুর সোয়া ১টার দিকে পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়ক বন্ধ করে সেখানে অবস্থান নেন জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন আহতরা। রাতে পঙ্গু হাসপাতালের সামনে অবস্থানরত আহতদের সঙ্গে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

সমস্যা সমাধানে উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘তিন মাস পর আমার ভাইয়েরা এখনো রাস্তায় আছে, এটাই আমার জন্য সবচেয়ে লজ্জার। এই সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যায়, সে জন্য আমাকে একটু সময় দিন।’

এর আগে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ছাড়াও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। পরে তাঁরা চতুর্থ তলার পুরুষ ওয়ার্ডে এক ঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে ঘুরে দেখেন। সেখানে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আহতদের একাংশ ছিলেন, বাকি আহতরা তৃতীয় তলায় চিকিৎসাধীন। কিন্তু তৃতীয় তলার ওয়ার্ডে থাকা আহতদের দেখতে না যাওয়ায় সেখানে থাকা আহতরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আহতদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের পুর্নবাসন বা উন্নত চিকিৎসা করা হয়নি। েএরই মধ্যে আওয়ামী লীগের লোকজন বিভিন্ন পদে বসেছেন, বিতর্কীত ও আওয়ামী লীগের সুবিধাজীবিদের কেউ কেউ উপদেষ্টার পদপর্যন্ত ভাগিয়ে নিয়েছেন, তাই আহতরা আংশকা করতেছেন, আওয়ামী লীগ ফিরে আসলে সবাই নিজ নিজ পরিচিতি হয়তো আড়াল করতে পারবেন কিন্তু যারা আহত হয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, তারা নির্যাতনের শিকার হবেন। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে আসা দুই জন উপদেষ্টার সাথে তারা কথা বলতে চান। একই সাথে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও সমাজ কল্যাণ উপদেষ্টাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করতে চান।
আহত একজন ব্যক্তি জানিয়েছেন, সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকীর পদত্যাগ নিশ্চিত করা না হলে আমি হাসপাতালের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে জীবন উৎসর্গ করবো। আঙ্গ হারিয়েছি, এখন তো আর কিছু করতে পারবোনা, তাই প্রতিবাদ স্বরুপ নিজের জীবন দিয়ে দিবো। তার অভিযোগ, তিনি মোবাইলে ফারুকীর মিথ্যা বক্তব্য শুনে গত দুইদিন ঘুমাতে পারেনি। এছাড়াও তার সাংস্কৃতিক চর্চা ইসলাম বিরোধী বলেও জানিয়েছেন বৈষ্যমা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ঐ শিক্ষার্থী।
Share