রাজাকার থেকে আ’লীগের কাণ্ডারী হয়ে ওঠেন ফারুক খান

ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার ছিলেন সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী লে. ক. মুহাম্মদ ফারুক খান। এমনই অভিযোগ তার এলাকাবাসীর। এছাড়া নব্বইয়ের দশকের শুরুতে সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন পদ বাণিজ্যসহ নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ছাড়তে হয় চাকরি। এরপর ১৯৯৬ নির্বাচনে কোটি টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন কিনে হয়ে যান আওয়ামী লীগ নেতা। রাজাকার থেকে দিনে দিনে হয়ে ওঠেন আওয়ামী লীগের কাণ্ডারী।

২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম যুক্ত করার জন্যও করেছিলেন দৌড়ঝাঁপ। তবে ফারুক খানকে নিয়ে বিতর্ক থাকায় দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে তাকে মুক্তিযুদ্ধের সনদ দেওয়া হয়নি।

আরও জানা গেছে, ফারুক খানের পরিবারের একাধিক সদস্য তালিকাভুক্ত রাজাকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে নিরীহ মানুষের ওপর নানা নির্যাতন চালিয়েছেন তারা। দখল করেছেন শত শত মানুষের বাড়িঘর। মুক্তিযুদ্ধ শেষে পাকবাহিনী আত্মসমর্পণ করলে ১৯৭২ সালে ফারুক খান ও তার পরিবারের সদস্যদের মুকসুদপুর থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধার সাহায্যে এলাকায় ফিরে আসেন।

৭০ বছর বয়সী মিকাইল নামে স্থানীয় এক বৃদ্ধা বলেন, ফারুক খান নিজেই রাজাকার ছিলেন। এছাড়া তার পরিবারের সদস্যরাও তালিকাভুক্ত রাজাকার। যার জন্য ১৯৭২ সালে ফারুক খান ও তার পরিবারের সদস্যদের মুকসুদপুর থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। ৯০’র দশকে ফারুক খানের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীতে বদলি বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ উঠলে সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন।

১৯৯৬ সালে কোটি টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ থেকে গোপালগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন কেনেন ফারুক খান। এরপর থেকে আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আসনটি থেকে টানা ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফারুক খান। ২০০৮ সালের পর থেকে আসনটির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেন ফারুক। এরপর থেকে ভিন্নমতের মানুষের ওপর পুলিশসহ নিজের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে নির্যাতন চালাতেন তিনি।

Share