খাগড়াছড়িতে চলছে ১৪৪ ধারা

ডেস্ক: খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় গণপিটুনিতে এক শিক্ষকের মৃত্যুর পর পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা প্রশাসন চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং নতুন করে সংঘাত এড়াতে জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে যতক্ষণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়।সহিদুজ্জামান আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য তদন্ত কমিটি কাজ করবে। যেন নতুন করে সহিংসতা না বাড়ে, সেই লক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

অন্যদিকে, খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এবং সরকারি কাজে বাধা ও হামলার ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানিয়েছেন, শিক্ষকের হত্যার ঘটনার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। দুটি মামলা হলেও শিক্ষকের হত্যার বিষয়ে এখনও কোনো মামলা হয়নি। নিহত শিক্ষকের পরিবারের সদস্যরা আসলে এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে।

বুধবার সকালে খাগড়াছড়ি বাজারসহ সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে শিক্ষক সোহেল রানাকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বিকেল থেকে শুরু হয় পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে সংঘর্ষ। এতে কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটের ঘটনা ঘটে।

Share