মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমানের পাঠানো বিবৃতিতে তারা এই প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে হেফাজতের নেতারা বলেন, ইসলামী জনমতকে ‘মৌলবাদ’ আখ্যা দেওয়া ফ্যাসিবাদী আচরণ ছাড়া আর কিছুই নয়। টিআইবির বিবৃতির মাধ্যমে মনে হয়েছে, তারা তথাকথিত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চান, তবে ইসলামী জনমতকে বাদ দিয়েই। তাদের বক্তব্যে উগ্র সেক্যুলার ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা স্পষ্ট।
তারা আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলেও আমরা এ ধরনের মনোভাব দেখেছি। ওয়ার অন টেররের সময় ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য থেকে তারা এখনও সরে আসতে পারেনি। আমরা ভুলিনি, শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের সময়ে তারাই একসময় আলেমসমাজ ও ইসলামপন্থিদের দমন করতে মন্ত্রণা দিত।
হেফাজত নেতারা বলেন, ‘হাসিনার শাসনামলে জাতীয় পাঠ্যপুস্তকের সমস্যাগুলো নিয়ে ওলামায়ে কেরাম সবসময় সোচ্চার ছিলেন, কিন্তু নতুন বাংলাদেশে শিক্ষা বিশেষজ্ঞহীন ওই সমন্বয় কমিটিতে কোনো আলেম অন্তর্ভুক্ত না করাটা গুরুতর বৈষম্যের প্রমাণ। অথচ, এ নিয়ে সেক্যুলারদের কোনো আলোচনা নেই। বরং ‘মৌলবাদ’ ট্যাগ দিয়ে তারা ইসলামী জনমতকে কোণঠাসা করতে চায়। আমরা এই ফ্যাসিবাদী ভাষা ও আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
নেতারা আরও বলেন, সেক্যুলার সুশীলতার মুখোশের আড়ালে ব্র্যাক, টিআইবিসহ কিছু এনজিও এই দেশে সাম্রাজ্যবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে। তারা পশ্চিমা প্রভাব বজায় রাখতে ও আধিপত্য বিস্তার করতে সাম্রাজ্যবাদীদের ফান্ড পায় এবং বিতর্কিত পশ্চিমা মূল্যবোধগুলো জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে ঢোকাতে সচেষ্ট। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ইসলামী জনমত তাদের বড় বাধা। কারণ, ইসলামী জনমত সবসময় দেশের স্বার্থ, জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, ধর্মীয় চেতনা ও সামাজিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে গঠিত হয়।