“কানপুরে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ, ভারতের বড় জয়”
ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেটের একনিষ্ঠ ভক্ত, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি শেখ মিনহাজ হোসাইন। নিয়মিত ফেসবুকে ক্রিকেট নিয়ে লেখালেখি করেন। কানপুরে বাংলাদেশ বনাম ভারতের টেস্ট ম্যাচ চলাকালে, নিউইয়র্কে তখন গভীর রাত। তবুও দূর প্রবাসে রাত জেগে খেলা দেখতে বসে বাংলাদেশ দলের এমন অসহায় আত্মসমর্পণ দেখে তিনি চরম হতাশ হয়েছেন।
মিনহাজের মতো হতাশা অনেক বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীর মধ্যেও দেখা গেছে। কিছুদিন আগে পাকিস্তানের মাটিতে স্বাগতিক দলকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে এবারের ভারত সিরিজে প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রীড়া বিশ্লেষকরাও বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখছিলেন। কিন্তু বৃষ্টিতে আড়াই দিনের মতো খেলা নষ্ট হলেও, ভারত শেষ পর্যন্ত ম্যাচ বের করে নিয়েছে।
মাঠের খেলায় নাজমুল হোসেন শান্তরা সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। চেন্নাই টেস্টে ২৮০ রানে হারের পর কানপুরে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচেও আড়াই দিনে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ। অথচ বৃষ্টির কারণে খেলা হয়েছে মাত্র ১৭৩.২ ওভার। কেপটাউনে দেড় দিনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর এবার বাংলাদেশকে দুই দিনে হারানো ভারতের জন্য বিশেষ অর্জন। ম্যাচশেষে ভারতীয় পেসার জসপ্রীত বুমরাহ বলেছেন, ‘এই জয়টা বিশেষ’। ভারত টেস্টে কেন ‘নাম্বার ওয়ান’ তা আরও একবার প্রমাণ করল।
সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রনির মতে, চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং শুরু করা দল যদি জয়ের জন্য খেলতে পারে এবং তা বাস্তবায়ন করতে পারে, তাহলে সেটি অসাধারণ। ভারতের এই জয় তাদের টেস্ট ক্রিকেটে এক ধাপ এগিয়ে নেবে।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই জয় গুরুত্বপূর্ণ ছিল ভারতের জন্য। তাই চতুর্থ দিনের লাঞ্চব্রেকে জেতার পরিকল্পনা করেছিলেন রোহিত শর্মারা। টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করে ৫২ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে, পরে ১৪৬ রানে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেয়।
বাংলাদেশের ব্যাটাররা দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করতে পারেননি। শান্ত-সাদমানের ৫৫ রানের জুটি কিছুটা আশা দেখালেও অধিনায়কের রিভার্স সুইপে আউট হওয়ার পর ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। ৯১ রানে ২ উইকেট থেকে ৯৪ রানে ৭ উইকেটে পরিণত হয়। শেষমেশ ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে ৯৫ রানের লক্ষ্য দেয়, যা ভারত সহজেই ১৭.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে।