প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোয়ালকম ইন্টেলকে কেনার প্রস্তাব দিলেও, কোম্পানিটি এ চুক্তিতে রাজি হবে কিনা, বা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ এটি অনুমোদন করবে কিনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়। এ বিষয়ে টেকক্রাঞ্চের মন্তব্যের অনুরোধে দুই কোম্পানি কোনো সাড়া দেয়নি। দ্য ভার্জের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কোয়ালকম সফলভাবে ইন্টেলকে অধিগ্রহণ করতে সক্ষম হয় এবং প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, তাহলে এটি কোয়ালকমের জন্য একটি বড় সাফল্য হবে। বিশেষ করে যখন মাইক্রোসফট এইআই-নির্ভর পারসোনাল কম্পিউটার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ বছর ডেস্কটপ প্রসেসর বাজারে ফিরে এসেছে। কোয়ালকম দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল প্রসেসর তৈরিতে শীর্ষস্থানে রয়েছে।
বর্তমানে চিপ তৈরিতে ইন্টেল গত বছরগুলোর তুলনায় অনেকটাই দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। যদিও কোম্পানির কিছু বিভাগ এখনো লাভ করছে, তবে আগস্টে ১৬০ কোটি ডলার লোকসানের পর, ইন্টেল সম্প্রতি তাদের ১৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই, ব্যবসায়িক কৌশল পরিবর্তন এবং অন্যান্য বড় সিদ্ধান্তের ঘোষণা করেছে। ওই সময় ইন্টেলের সিইও প্যাট গেলসিঞ্জার বলেছিলেন যে সংস্থাটি সব অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বন্ধ করবে। তারা তাদের চিপ তৈরির ব্যবসাটি আলাদা করার পরিকল্পনাও করেছে।
প্রযুক্তিবিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন যে, কোয়ালকম, এএমডি এবং অ্যাপল এখনও ল্যাপটপ বাজারে ইন্টেলের তুলনায় তুলনামূলকভাবে ছোট কোম্পানি। এই প্রতিযোগিতার কারণে ইন্টেল তাদের শীর্ষ ল্যাপটপ চিপ তৈরির পদ্ধতি দুবার পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। প্রযুক্তিবিশেষজ্ঞরা এখন অক্টোবরে নতুন লুনার লেক চিপগুলো উন্মোচনের পর ইন্টেল কতটুকু সফল হতে পারে, সেটি দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন।
কোয়ালকমের জন্য ইন্টেলকে অধিগ্রহণ করা মানে শুধু বাজারে শক্তিশালী হওয়া নয়, বরং প্রযুক্তির দুনিয়ায় তাদের অবস্থান আরও মজবুত করা। ইন্টেলের ব্যাপক অভিজ্ঞতা এবং গবেষণা ও উন্নয়ন ক্ষেত্রের শক্তি তাদেরকে বিভিন্ন নতুন প্রযুক্তি ও বাজারে প্রবেশের সুযোগ তৈরি করতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে এআই এবং ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তির দিকে দ্রুত পরিবর্তনের সময়, এ ধরনের একটি অধিগ্রহণ কোয়ালকমকে অনেক সুবিধা দিতে পারে।
সুতরাং, কোয়ালকমের এ পদক্ষেপ প্রযুক্তি শিল্পে একটি নতুন যুগের সূচনা করতে পারে। তবে, ইন্টেলকে অধিগ্রহণের চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য যে নানা ধরনের বাধা এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে, তা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।