নতুন নির্বাচন কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করল নাগরিক কমিটি
তারেক মনোয়ার : নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ গ্রহণের সাথে সাথে প্রত্যাখ্যান করেছে জুলাই বিপ্লবের ওপর ভিত্তি করে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটি।
লিখিত বক্তেব্য জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র শামান্তা শারমীন বলেন কারণ হিসেবে তারা বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার নতুন যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সেটা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আইনে করা। আমরা এই নির্বাচন কমিশনকে প্রত্যাখান করছি। তিনি আরো বলেন, ড. ইউনূসকে মনে রাখতে হবে, তিনি ছাত্র-জনতার দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত। তরুণ শিক্ষার্থী সমাজসহ আপামর জনগণের কাছেই তিনি দায়বদ্ধ। রাজনৈতিক দলগুলো না চাইলে সংস্কার হবে না, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য আমরা তার কাছ থেকে শুনতে চাই না।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণসহ তারা ২০২২ সালের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশন আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে বলে লিখিত বক্তব্যে বলেছেন সংগঠনটির মূখপাত্র।
প্রধান উপদেষ্টা প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্যান্য উপদেষ্টাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন দেখতে চাই। ড. ইউনূস দৃঢ়তার সঙ্গে সঠিক সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নেবেন। এটাই শিক্ষার্থী, তরুণ সমাজ ও অভ্যুত্থানের অংশীজনরা প্রত্যাশা করেন। আমাদের প্রত্যাশা, তিনি শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজের বার্তা বুঝতে পারেন এবং তাদের আহ্বানে সাড়া দেবেন।
উল্লেখ্য, ২১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির নির্দেশে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হয়। আজ রবিবার নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনার শপথ নিয়েছেন। দুপুর দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ পড়ান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।