মনজুরুল ইসলাম মেঘ : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা দুর্নীতির জন্য ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট, এখন সে ভারতে পিএইচডি করতেছেন। ভারতকে এখন শেখ হাসিনা পথ দেখাবেন।
রোববার রাজধানী বাড্ডায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় ও সচেতনতা লিফলেট বিতরণ পূর্ব আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, মনুষ্যত্বের পক্ষে কাজ করাটা প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের কর্তব্য। স্বাধীনতার পর থেকে যদি বাকশাল না হতো, জাসদের নেতাকর্মীদের যদি খুন করা না হতো, সিরাজ শিকদারকে যদি হত্যা করা না হতো, সব দল নিষিদ্ধ করে একটি দল করা না হতো, একটানা ১৬ বছর যদি শেখ পরিবারের একক রাজনীতি না থাকত, তবে বাংলাদেশের রাজনীতি গণতন্ত্রের ওপর ভিত্তি করেই হতো। সব রাজনৈতিক দল গণতন্ত্র চর্চা করত, আর গণতন্ত্র চর্চা হলেই সে রাজনীতি হতো মানব সভ্যতারও কল্যাণের।
‘ডেঙ্গুতে প্রতিদিন চার-পাঁচজন করে লোক মারা যাচ্ছে ঢাকা মহানগরে, এটি যদি যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশে হতো তবে সে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করতো’ বলে জানান রিজভী।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা দুর্নীতির জন্য ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট, এখন তাকে পিএইচডি করার জন্য ভারত নিয়ে গেছে। ভারত মনে করছে ‘আপনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশের যে দুর্নীতি করে যে উন্নয়ন করেছেন, এখন সেই উন্নয়ন ভারতে করেন, ভারতকে পথ দেখান’।
আওয়ামী লীগের লোকজনের কাছে অবৈধ অস্ত্র ও টাকা আছে, যা এখনো উদ্ধার হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটার যে সুযোগ পেয়েছি, সেদিকে বাধা দেওয়ার জন্য ওরা (আওয়ামী লীগ) নানান ধরনের ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে দেশবাসী ও নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান বিএনপির এই মুখপাত্র।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় ও সচেতনতা লিফলেট বিতরণ পূর্ব অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. এম এ কাইয়ুম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানের নির্দেশ সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেব। মানুষ সচেতন হলেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ হবে। মানুষের প্রাণ রক্ষা পাবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব বলেন, এই সরকার গঠিত হয়েছে জনরায়ে, জনগণের ইচ্ছায়। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে, আমরা ধীরে ধীরে হতাশ হচ্ছি! প্রফেসর ইউনূস দেশের কৃতি সন্তান, বিশ্বব্যাপী তার পরিচিতি। তিনি বিদেশে বাংলাদেশের ফেইস, তার চেয়ে যোগ্য ব্যক্তি আমরা এই মুহূর্তে পেতাম না। তিনি ক্ষমতায় থাকতেও চান না, আগেও তাকে অফার করা হয়েছিল, থাকেননি। এখনো যে তিনি খুব ইনজয় করছেন, তা মনে হয় না। কিন্তু একটা কথা আমার বলতে হচ্ছে, তার টিম সিলেকশনটা ঠিক হয়নি। তিনি যাদেরকে সঙ্গে নিয়েছেন, তাদের অনেকের আজীবন ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা আছে। হয় তো প্রকাশ করতে পারেন না, কিন্তু ভাবভঙ্গিতে এমনই মনে হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. আব্দুর রফিকুল ইসলাম, বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, যুবনেতা এস এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।