শান্ত আরও উল্লেখ করেন, সাকিব না থাকায় একাদশ তৈরি করা সহজ হবে না। কারণ সাকিব থাকলে দল বাড়তি একজন ব্যাটসম্যান বা বোলার খেলানোর প্রয়োজন পড়ত না। শান্ত বলেন, ‘সাকিব ভাই এতদিন ছিলেন, এখন একাদশ সাজাতে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। উনি ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দারুণ ভারসাম্য দিতেন। মিরাজকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আশা করি, মিরাজ দ্রুত সাকিবের জায়গা পূরণ করতে পারবে।’
আসন্ন সিরিজে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং কৌশল দেখা যাবে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন, ‘টপ অর্ডারদের শুরুটা ভালো করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি আগে ব্যাট করি, উইকেটের অবস্থা অনুযায়ী কত রান করা প্রয়োজন সেটা বুঝে ব্যাট করতে হবে। কোনো দিন হয়তো ১৪০, কোনো দিন ১৮০ রান লাগতে পারে। তাই ব্যাটসম্যানদের সেই অনুযায়ী ব্যাটিং করা উচিত।’
এদিকে, সিনিয়র পাঁচ ক্রিকেটারের মধ্যে একমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই এখনো টি-টোয়েন্টি দলে রয়েছেন, যার বয়স ৩৯ এর কাছাকাছি এবং সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভালো নয়। ভারতের বিপক্ষে সিরিজে তাকে দলে রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হতে পারে, এই সিরিজই তার শেষ সিরিজ। এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘রিয়াদ ভাইয়ের ব্যাপারটা নিয়ে আমি যতটুকু জানি, এই সিরিজ তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং হয়তো তিনি নির্বাচকদের সঙ্গে কথাও বলবেন। তবে আমার কাছে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। আমার মনে হয় নির্বাচক ও বোর্ডের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে এখনো আমরা এ নিয়ে কোনো আলাপ করিনি। সিরিজের আগে এই আলোচনায় যেতে চাই না, কারণ সিরিজ শুরু হচ্ছে।’